প্রতিবেদন : থাইরয়েড দেখতে একটি প্রজাপতির মত গ্রন্থি যা আমাদের গলায় থাকে। এই গ্রন্থি হতে T3 এবং T4 নামক হরমোন নিসৃত হয়। T3 ও T4 হরমোন আমাদের দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হৃদপিন্ডের গতি নিয়ন্ত্রণে, শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে ইত্যাদি গুরুপুর্ণ কাজে থাইরয়েড হরমোনের (থাইরয়েডের রোগ লক্ষন) প্রভাব রয়েছে।
চলুন জেনে নেই হাইপোথাইরয়েডিজম কি? ‘হাইপো’ শব্দের অর্থ কম এবং থাইরয়েডিজম মানে থাইরয়েডের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। যখন কোন কারণে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন তৈরি করে তখন তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা বলে।
কিছু উপসর্গ আছে যা দেখে আপনি নিজেই সন্দেহ করতে পারবেন হয়তো আপনি হাইপোথাইরয়েডিজম এ ভুগছেন এবং চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে পারবেন।
- অবসাদগ্রস্ততা,ঘুম ঘুম ভাব।
- স্বরের কোমলতা কমে যাওয়া, কন্ঠ ভারী ও কর্কশ শোনানো।
- অনিয়মিত মাসিক ও মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত(মেয়েদের জন্য)।
- হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া। -চামড়া ও চুল শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাওয়া।
- থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বিপাক ক্রিয়া দেরিতে হয় বা মেটাবলিক রেট কমে যায়।
- তাই এই রোগের প্রথম লক্ষণ ওজন বেড়ে যাওয়া।
- কানে কম শোনা বা একদমই না শোনা।
- স্নায়ু ও মাংসপেশী নির্ভর রিফ্লেক্স কমে যাওয়া। -গলগ দেখা যাওয়া।
- ঠাণ্ডা একদমই সহ্য করতে না পারা।
- পেটে পানি জমা। -বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- মুখ ও পা ফুলে যাওয়া। -কোষ্ঠকাঠিন্য।
- বন্ধ্যাত্বতা।
- যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া।
- মাংসপেশীতে প্রচন্ডচাপ ও ব্যথা অনুভব করা।
- উচ্চ রক্তচাপ হওয়া।
হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষন (থাইরয়েডের রোগ লক্ষন) পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন গ্রহন করতে হবে নিয়মিত। অনিয়ন্ত্রিত হাইপোথাইরয়েডিজম মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকির কারণ হতে পারে।
Related Post:
ডায়াবেটিস রোগীদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা