আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়; রির্জাভ বেড়ে সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার

আইএমএফ

বাংলাদেশকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক এক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল-আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী এতে রিজার্ভ বেড়ে দাড়িয়েছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আইএমএফ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, বিশ্ব ব্যাংক ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকসহ বেশ কিছু উৎস থেকে আরও প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ২০১ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে।

 

পৌনে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ছাড় হওয়া এ ঋণের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া, আইবিআরডি (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ও আইডিবি (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) থেকে মোট ৯০ কোটি ডলারও ছাড় হয়েছে।

 

সব মিলিয়ে এদিন ২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে রিজার্ভে। এতে বাংলাদেশের রিজার্ভ গ্রস হিসাবে সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এদিন সন্ধ্যার কিছু পরে তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যোগ হয়েছে।

 

‘‘এ ছাড়া ঋণ হিসেবে আসা কোরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে মোট ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে রিজার্ভে। তাতে প্রাথমিক হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’’ এর আগে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী বোর্ড সভায় তা অনুমোদন করা হয়েছিল।

 

তৃতীয় কিস্তি হিসেবে পাওয়া এ অর্থ আগে থেকে নির্ধারিত কিস্তির পরিমাণ এবং আগের দুই কিস্তির চেয়ে বেশি। সময়ের পার্থক্যর কারণে বিশ্বের অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন এখনও চলছে। শুক্রবার রিজার্ভের চূড়ান্ত স্থিতি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র।

 

তৃতীয় কিস্তিতে মোট ইসিএফ (এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি) ও ইইএফ (এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার (আইএমএফ মুদ্রা এসডিআর ৭০ কোটি ৪৭ লাখ) এবং আরএসএফ (রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ২২ কোটি ডলার (এসডিআর ১৬ কোটি ৬৮ লাখ) পাবে বাংলাদেশ।

 

এ তিন খাত মিলিয়ে মোট ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। তবে চুক্তির শুরুতে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাতে এবার বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সে জায়গায় ইসিএফ ও ইইএফ এর বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার করেছে আইএমএফ। এভাবে মোট মঞ্জুর করা ঋণের মধ্যে তৃতীয় কিস্তিতে ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।