এক সময়ের রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু, গত চার মাস আগেও যেখানে প্রবেশ করতে লবিং করতে হতো। এখন প্রবেশ করা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে এর সামনে দিয়ে হেঁটে পার হওয়াও যেন দুষ্কর!
রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সমন্ধে এভাবেই বলছিলেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আর আগের পরিবেশ আর নেই। ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আগুনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এটি। এখন কার্যালয়টি অপরাধকর্মের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।’
গুলিস্তানে ১০ তলাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে থেকেই ধ্বংসযজ্ঞের ছাপ চোখে পড়ে। সুসজ্জিত ভবনের সব মাল লুট করা হয়েছে। পোড়া দেয়ালগুলো ছাড়া কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। স্টিলের তৈরি নামফলকগুলোও খুলে নিয়ে গেছে। লুটপাটের পরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব পাশের ভবনটিও।
জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি অরক্ষিত। দলের কোনো নেতাকর্মী আর কার্যালয়ে আসেন না। ফলে মাদকসেবীসহ ছিন্নমূলের অনেকেই সেখানে অবাধ প্রবেশ করেন। কার্যালয়টির নিচতলা পরিণত হয়েছে গণশৌচাগারে।
ভবনে অবস্থান করা কয়েক ব্যক্তি জানান, তারা ওই এলাকায় রিকশা চালান। পরিশ্রান্ত হলে ভবনের ওপরের কোনো তলায় এসে বিশ্রাম নেন। মাঝেমধ্যে খেলাধুলা করেন। তাদের একজন সোলায়মান বলেন, ‘ভবনটির যাবতীয় আসবাব চুরি হয়ে গেছে। এখনো ভবনটির বিভিন্ন অংশের রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ।’ কিছু মানুষ ভবনটিতে নিয়মিত মাদক সেবন করে বলেও জানান তিনি।
পথচারী শরীফুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেমন কর্ম করেছে, তেমন ফল ভোগ করছে। এই ভবন থেকে তারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের নকশা আঁকত।’ ভবনের উপর তলাতে রাতের বেলায় চলে দেহ ব্যবসা, যা সরেজমিন পরিদর্শন গিয়ে দেখা মিলেছে বিভিন্ন আলামত।
Read More:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ-এ একজনকে ধর্ষণ; আটক ৪